ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষণের পর ফের ধর্ষণের হুমকি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
ধর্ষণের পর ফের ধর্ষণের হুমকি!

রাঙামাটি: রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নের এগুজ্যাছড়ি ফরেস্ট অফিসের পাশে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ধর্ষকরা তাকে ফের ধর্ষণের হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন  ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম ইসমাইল হোসেনের আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- অঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা ওরফে এজেন্ট (৩০), রুজন দাশ (২৪), সুমন্ত চাকমা (২৫), স্নেহাশিষ বড়ুয়া (২৪) এবং সুজন দাশ (২৮)।
 
মামলা সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল রাতে ভিকটিম স্থানীয় এক বন্ধুর বাসায় বিজুর (বৈশাখী উৎসব) নিমন্ত্রণে অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আসামিরা ওই কলেজছাত্রীকে ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক এগুজ্যাছড়ি ফরেস্ট অফিসের কালভার্টের নিচে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের  এক বন্ধু ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষকদের বাধা দিলে তাকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এসময় ৩ নম্বর আসামি সুমন্ত চাকমা ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।

এরপর অঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা এবং রুজন দাশ ভিকটিমকে মামলা না করার জন্য বলে। অন্যথায় তার বাবাকে হত্যা এবং ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবেন বলে হুমকি দেয়।   পরে ওই ছাত্রী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে’ চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের ছাড়পত্রে তাকে গ্যাং রেফ’ করা কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার পর ২৩ জুন অভিযুক্তরা ভিকটিমকে ফের ধর্ষণের হুমকি দেয়।   এরপর গত ২৮ জুন ওই কলেজছাত্রী বিলাইছড়ি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন ওই কলেজছাত্রী এবং গত ১২ আগস্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

রাঙামাটি লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী ও বাদীপক্ষের আইনজীবী সালিমা ওয়াহিদা বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীকে ঘটনার পর থানায় মামলা না করতে চাপ প্রয়োগ এবং ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এরপর ভিকটিম তাদের হাত থেকে বাঁচতে আদালতের শরাপন্ন হয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিলাইছড়ি থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
 
বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, মামলা না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ঘটনার অনেক পরে স্থানীয় এক হেডম্যান অভিযোগটি দিতে এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি, ভিকটিম যেহেতু জেলা শহরে থাকেন, সেক্ষেত্রে আদালতে মামলা করতে পারেন। বিলাইছড়ি থানাতেও মামলা করা যাবে। তবে ভিকটিম ও তার পরিবারকে অবশ্যই আসতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।