ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভিডিও করে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ, আ. লীগ নেতা কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
ভিডিও করে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ, আ. লীগ নেতা কারাগারে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অরণখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন নকরেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে তিনি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছেন।

এ অভিযোগে মামলা হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

অন্যদিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাতের আদালতে ভুক্তভোগীর ২২ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মধুপর থানায় মামলাটি করেন। এতে আসামি করা হয় উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন নকরেককে। এরপর ওই দিন রাতেই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুন নকরেকের সঙ্গে ওই তরুণীর পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই মামুন। কোনো একদিন মোবাইরে সেই দৃশ্য ধারণ করেন মামুন। এরপর থেকে ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছেন মামুন। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

সম্প্রতি মেয়েটির শরীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় তার মায়ের। এরপর বিষয়টি জানার জন্য মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে তরুণী বাধ্য হয়ে সব হুমকি উপেক্ষা করে মাকে সব ঘটনা খুলে বলেন।

মেয়েটির মা বলেন, অনেক কষ্টে করে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে সে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার শরীরের গঠনে পরিবর্তন দেখে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করলে সে মুখ খোলে। বর্তমানে মেয়ে আমার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে অনেকেই মীমাংসার চেষ্টা করলেও ভুক্তভোগীর মা আইনের আশ্রয় নেন।

অরণখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিলিপ মৃ জানান, মামুনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ শুনেছি।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা মামুন নকরেককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব রহমান আসামি মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২

আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।