ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফায়ার ফাইটার তবিবরের ৮ লাখ টাকা গেল কোথায়?  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
ফায়ার ফাইটার তবিবরের ৮ লাখ টাকা গেল কোথায়?  

নড়াইল: স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাবেক স্টেশন অফিসার এস এম তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৮ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।

তবিবর রহমান কালিয়া উপজেলার বাকা গ্রামের মৃত মো. ইমান উদ্দিন শিকদারের ছেলে।

জানা গেছে, চাকরি জীবন শেষে গত ২০২০ সালের ১ আগস্ট তবিবর রহমান পূর্ণ অবসরে যান। কিন্তু গত ৩ বছরেও প্রভিডেন্ট ফান্ডে তার জমা করা ৮ লাখ টাকা পাননি।

দীর্ঘ চাকরি জীবনের সঞ্চিত ওই টাকা পেতে তবিরর রহমান গত ১৬ আগস্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, চাকরির মেয়াদ শেষে এস এম তবিবর রহমান ২০২০ সালের ১ আগস্ট পূর্ণ অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর যথা নিয়মে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পেতে কর্তৃপক্ষের  কাছে আবেদন করেন। সে অনুযায়ী নড়াইল জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তার প্রভিডেন্ট ফান্ড অগ্নি/ খুলনা/১৬২ নম্বর হিসাবের হিসাব চূড়ান্ত করেন । অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে থাকার সময় গত ২০২০ সালের ৯ মার্চ জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নড়াইলের উপসহকারী পরিচালক তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন।

ওই বছর ১১ মার্চ ফায়ার সার্ভিসের নড়াইল শাখার উপসহকারী পরিচালক শামিমুল ইসলামের কাছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রত্যয়নপত্র জমা দেন তবিবর রহমান।   তারপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলায় বদলি হয়ে যান। এরপর আর সেই টাকা পাননি তবিবর। এরপর থেকে তিনি নড়াইল ফায়ার স্টেশনে ধর্না দিতে দিতে নিজেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে তবিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে আমি আবেদন করেছি। কিন্তু মো. শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। পরে শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহে বদলি হয়ে যান। কিন্তু গত ৩ বছরেও কোনো সুরাহা পাইনি। বর্তমানে আমি শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি।  

নড়াইলের তৎকালীন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শামিমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেছেন, তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। তবে অতিসম্প্রতি ঘটনাটি জানার পেরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওইসব টাকা তার নড়াইল অফিসের অফিস সহায়ক মো. নাহিদ হোসেন স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছেন।  

অফিস সহায়ক মো. নাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেছেন, তবিবর রহমানের পাওনা টাকার বিষয়ে একাধিকবার অফিসে বসা হয়েছে। তবে তিনি কোনো জালিয়াতি করেননি।  

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারি পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেছেন, তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি জেনেছেন। এর আগে তবিবর রহমান ঘটনাটি তাকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।