সিলেট: দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে ১২০ টাকায় সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই চায়ের ভরা মৌসুমেও শ্রমিকদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে।
চা পাতা না তুলতে পারার যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে নেমেছেন রাজপথে।
দুই দফা বৈঠকের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। ফলে চা বাগানের অচলাবস্থার নিরসন হয়নি।
বৃহস্পতিবারও (১৮ আগস্ট) সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন তারা। কর্মবিরতি চলাকালে কাজে যোগ দেননি সিলেট ভ্যালির চা শ্রমিকরা। একইভাবে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরাও কাজে যোগ দেননি বলে জানিয়েছেন ভ্যালির নেতারা।
এদিন সকালে সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়কের লাক্কাতুড়া এলাকায় চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রয়োজনে না খেয়ে থাকবেন, কিন্তু মজুরি ৩০০ টাকা না করা পর্যন্ত কাজে যোগ দেবেন না।
এদিকে, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বৈঠক হলেও তাতে কোনো সমঝোতা হয়নি।
আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা বাগান মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে দাবি-দাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়োর কথা রয়েছে।
এদিকে চা শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ছাড়া কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, সুরমা ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, বৈঠকে দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে, এই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করা ছাড়া কোনো অবস্থাতেই কর্মসূচি স্থগিত করবেন না।
চা শ্রমিকরা মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের ধর্মঘটের ডাক দেন। তারা পুরো সপ্তাহ সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। দুদিন স্থগিত রাখার পর গত মঙ্গলবার থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এনইউ/এসআইএস