ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

এলিজাবেথ-মিঠুন এখন সুখী দম্পতি

এম রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এলিজাবেথ-মিঠুন এখন সুখী দম্পতি

ঝিনাইদহ: মেধাবী মিঠুনের শৈশব কেটেছে দুরন্তপনায়। সর্বশেষ খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে বিবিএ পাস করে চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে।

সেখানে কনস্ট্রাকশনের ওপর বিশেষ কোর্স শেষে দেশে ফিরে আসেন। সেসময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় মার্কিন তরুণী এলিজাথের সঙ্গে। এরপরে দূর থেকে হলেও গাঢ় বন্ধুত্ব ও পরে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা। কিন্ত তাদের কখনও দেখা মিলবে এমনটা কখনও ভাবেননি। কিন্ত মাত্র আড়াই মাসের প্রেম হলেও এলিজাবেথ সবাইকে চমকে দিলেন।

তিনি মনের টানে মিঠুনের বাংলাদেশে ছুটে আসেন। তখন সবকিছুই তার অজানা-অচেনা। তারপরও বাঙালির আতিথেয়তা,আচার ব্যবহার সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মিঠুনের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও প্রেমে পড়ে যান ওই মার্কিন তরুণী। অন্যদিকে বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে উন্নত দেশের তরুণীর প্রেমকে গুরুত্ব দিয়ে সূদুর পথ পাড়ি দিয়ে আসার পুরস্কার দিয়েছেন মিঠুনের পরিবার। কেননা উভয়ের ভালো লাগার বিবেচনায় এদেশীয় ও ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠিত হয়।

এলাকাবাসীরা জানায়, মিঠুনের পরিবার এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। তার পরিবার সব সময়ই কৃষিনির্ভর। তারা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ছোটবেলা থেকে মিঠুন ভদ্র স্বভাবের ছেলে। তবে তিনি লেখাপড়ায় অনেক মেধাবী। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ফেসবুকে প্রেম করে আমেরিকান তরুণীকে বিয়ে করেছেন। এই পর্যন্ত আমেরিকা থেকে এলিজাবেথ তাদের এলাকায় দুইবার এসেছেন। বিদেশি মেয়ে হলেও তার আচার-ব্যবহার বাঙালিদের মতো সাধাসিধে। তাছাড়া এলাকার সব শ্রেণীর মানুষও তাকে ভালো বলেন।

মিঠুনের মেঝ ভাই রাজিব বিশ্বাস জানান, তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেঝ। বড় পলাশ বিশ্বাস আর সবার ছোট মিঠুন। কৃষি নির্ভর পরিবার তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছোট ভাই মিঠুনের প্রেমে পড়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথবার এদেশে আসেন বিদেশি তরুণী এলিজাবেথ। এরপর প্রথমে তারা ঝামেলা মনে করেছিলেন। কিন্ত পরে সবকিছু কাটিয়ে তারা একটা ভালো কিছু পেয়েছেন। কেননা এলিজাবেথও তাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়েছেন।

মিঠুনের বাবা নির্মল বিশ্বাস জানান, এলিজাবেথ খুব ভালো মেয়ে। বিদেশি পরিবেশে বড় হলেও সে অত্যন্ত মানবিক। এদেশে এসে সে দুই মাস করে থেকে গেছেন। সংসারের সবাই তার ওপর খুশি। এখনও প্রতিদিন রাতে মোবাইলফোনে বাড়ির সবার খোঁজ-খবর নেয়।  

তিনি আরও বলেন, মিঠুনের বিয়ের পরে এলিজাবেথের মা-বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তার আম্মা সাজা একলিখ ইতোমধ্যে তাদের সবার জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন।  

মিঠুনের বড় ভাই পলাশ জানান, ইতোমধ্যে আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের স্টারলিং শহরে বউমা এলিজাবেথ মিঠুন বসবাস করছেন। সেখানে মিঠুন এখন নাগরিকত্ব লাভ করেছেন এবং বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তারা দুইজনই চাকরি করছেন। আমেরিকাতে এখন মিঠুন ও এলিজাবেথ ভালোই আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।