ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেছে বেছে নৌকার সমর্থকদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বাতিলের অভিযোগ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বেছে বেছে নৌকার সমর্থকদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বাতিলের অভিযোগ!

দিনাজপুর: দুস্থ ও অসহায়দের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্ড বিনা কারণে বাতিল করার প্রতিবাদে দিনাজপুর সদর উপজেলায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত তিন শতাধিক নারী-পুরুষ।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় তারা অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনে যারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে ছিলেন, বেছে বেছে তাদের নাম সরকারি সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে বাতিল করেছেন বিএনপিপন্থী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক। এর পরিবর্তে তিনি অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলদের কার্ড দিয়েছেন।  

পরে একই অভিযোগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ইউপি কার্যালয়ের সামনে বোর্ডহাট বাজার সংলগ্ন রাস্তা প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন তারা।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৮০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দেন করেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বিএনপিপন্থী চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক সরকারিভাবে জারিকৃত পরিপত্রের দিক নির্দেশনা অমান্য করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারীদের নাম ঢালাওভাবে পরিবর্তন করে শুধুমাত্র বিএনপিপন্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করছেন। সে কারণে অনেক কার্ডধারী পুরুষ ও নারী সরকারের অন্য যে কোনো সুবিধাভোগীর আওতায় না পড়ার পরও তাদের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে অনেক দুস্থ, গরিব মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জরুরিভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারও নাম কাটিনি। উপজেলায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার ওপর মিটিং দিয়েছি। মেম্বাররা কার্ড বাতিল করেছেন।  

কার্ড বাতিল করার নিয়ম কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদে তারা অভিযোগ করেছেন, তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে। এখানে উপকারভোগী ১৭৫৪ জন, তবে কতগুলো কাটা হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না। মেম্বাররা বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতুর্জা আল মুঈদ বলেন, ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যে তালিকা রয়েছে, সেটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিদ্ধান্ত ছিল, তালিকার আওতায় যদি কোনো ব্যক্তি মারা যান বা সচ্ছল কোনো ব্যক্তির নাম এসে থাকে, সেগুলো সংশোধন করার। কিন্তু সংশোধন মানে এটা নয় যে সেটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে হবে। কীভাবে তালিকাটি পরিবর্তন হয়েছে, তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সরেজমিন পরিদর্শন করে জানাতে বলেছি।

তিনি আরও বলেন, কোনো অনিয়ম পেলে সেটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad