ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরে পারিবারিক কলহের জেরে মারধরের শিকার হয়ে নাজির চৌধুরী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহতের স্ত্রী কুলসুমের অভিযোগ, পুত্রবধূর মারধরে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি জানান, শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ‘বি’ ব্লক বাউনিয়াবাঁধ এলাকার একটি বাসায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় নাজির চৌধুরীকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী কুলসুম বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির ছেলে মাহবুব চৌধুরী তিন বছর আগে সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মাহবুব ও তার স্ত্রী বাউনিয়াবাঁধে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। মাহবুব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
মাহবুবের স্ত্রী সেলিনা আক্তার স্বামীকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতে চান। এতে মাহবুব রাজি হননি। এ বিনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর আগে সেলিনার বাবা-মা ও মাহবুবের বাবা-মা মিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেলিনার বাবা-মা বাউনিয়াবাঁধে যান। সেখানে সেলিনা তার স্বামী মাহবুবকে নিয়ে আলাদা বাসা নেওয়ার দাবি করেন। এতে মাহবুব রাজি না হলে তার গলা চেপে ধরেন স্ত্রী সেলিনা। তখন মাহবুবের বাবা নাজির চৌধুরী ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজির চৌধুরী। এরপর তাকে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহাদ আলী জানান, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পুত্রবধূ ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত নাজির চৌধুরীর স্ত্রীর অভিযোগ, পুত্রবধূ ও তার বাবা-মা মিলে তাকে মারধর করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এজেডএস/এমজেএফ