ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিমের বাজারে অস্থিরতা, শিগগিরই কমছে না দাম

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
ডিমের বাজারে অস্থিরতা, শিগগিরই কমছে না দাম

ঢাকা: তেল নিয়ে তেলেসমাতির পর এবার শুরু হয়েছে ডিমের বাজারে অস্থিরতা। উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই ডিমের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।

এ নিয়ে পাইকাররা দুষছেন খামারিদের। আর খুচরো ব্যবসায়ীরা দুষছেন পাইকারদের৷ তবে, শিগগিরই কমছে না দাম এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (১৪ আগস্ট) তেজগাঁও রেল স্টেশন এলাকা সংলগ্ন পাইকারি ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ আছে পর্যাপ্ত। এমনকি সে অর্থে বাড়েনি মুরগির খাদ্যদ্রব্যের দামও। শুধু পরিবহন খরচের দোহাই দিয়েই ডিমের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।

যেমন ছিল আজকের বাজার দর:

পাইকারী বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন ১৫০-৬০ টাকা দরে, দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকা দরে, লেয়ার মুরগির সাদা ডিম ১৫০-৫৫, হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরো পর্যায়ে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৭০-১৭৫ টাকা, দেশী মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৯০-২০০, লেয়ার মুরগির সাদা ডিম ১৭০-১৮০, হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া:

ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিয়ে জানতে চাইলে তেঁজগাও রেলস্টেশন সংলগ্ন ডিমের পাইকারী বিক্রেতা মো. ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরাই ডিমের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে হতবাক। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ডিমের দাম বেড়েছে। খামারিরা দাম বাড়ানোয় আমরাও বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছি।

তেজগাঁও এলাকার খুচরো বিক্রেতা সুরাইয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিরুপায়। আমার নিজেরও সংসার আছে। আমি বুঝি। আমি পাইকারদের থেকে বাড়তি দাম দিয়ে ডিম কিনেছি। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছি। লস দিয়ে তো আর বিক্রি করা সম্ভব নয়।

খামারিদের মতামত:

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা হয় নয়ন বহুমুখী এগ্রো ফার্মের কর্নধার শফিকুল ইসলাম নয়নের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে মুরগির খাদ্য থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কিছুর দাম বেড়েছে। বেড়েছে খামারের লিটারের দাম। বেতন বাড়াতে হয়েছে কর্মচারীদের। এমনকি, পরিবহন খরচও বেড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। সবকিছু মিলিয়ে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বাজারে। অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম না কমলে শিগগিরই কমছে না ডিমের দাম।

ক্ষুব্ধ ক্রেতারা:

তেজগাঁও এলাকার বাজারে ডিম কিনতে এসেছেন মো. জামাল হোসেন। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে মেহমান আসলে বাসায় কিছু না থাকলে চট করে একটা ডিম ভেজে দিতাম। বা টাকা-পয়সার একটু টানাটানি আছে, ডিম নিয়ে বাসায় আসতাম। এখন যে অবস্থা, ডিম খাওয়াও ছেড়ে দিতে হবে।

আরেক ক্রেতা আজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাজার তো অস্থিরই। ব্যবসায়ীরা মনমতো দাম বাড়াচ্ছেন। দেখার কেউ নেই। বাজারটা যদি অন্তত ঠিকঠাক মনিটরিং করা যেত, তাহলে অন্তত দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকত।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা গেল, শিগগিরই স্থিতিশীল হচ্ছে না ডিমের বাজার। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চাওয়া- শিগগিরই দাম না কমলেও, অন্তত বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালাক সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ১৪ আগস্ট, ২০২২
এমকে/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।