ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দখলমুক্ত হলো জয়গাছি খাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
দখলমুক্ত হলো জয়গাছি খাল

বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের জয়গাছি খালের অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হয়েছে।  

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম এই খালের মধ্যে থাকা নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন।

 

শ্রমিকরা খালের মধ্যে থাকা সব নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খাল দখলমুক্ত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। উন্মুক্ত খালে খেওলা জাল দিয়ে মাছ ধরছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় আয়ান আহমেদ বলেন, মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট ছিল আমাদের। সরকারি খাল হওয়ার পরেও আমরা এই খালে কখনও নামতে পারতাম না, মাছ ধরতে পারতাম না। খাল দিয়ে এলাকার পানিও নামতে পারত না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাল কাটায় এলাকার সবাই অনেক খুশি হয়েছে। সবাই মিলে খালে এখন মাছ ধরছে।

হাবিবুর রহমান শিকদার নামে এক বৃদ্ধ বলেন, এই খাল মুক্ত হওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা ২০-২৫ দিন আগে সরেজমিনে এসে নিউজও করেছে। তারপরও খাল অবমুক্ত হয়নি। আজ অবমুক্ত হয়েছে, আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জয়গাছি খালের অবৈধ দখলের বিষয়টি আমার নজরে আসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জয়গাছি খালের সব বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বাগেরহাট সদর উপজেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছন দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার লম্বা জয়গাছি খালটি দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন লোকের দখলে ছিল। খাল আটকে তারা মাছ চাষ ধরত। গেল ২২ জুলাই বাংলানিউজে “দখলের কারণে মরে যাচ্ছে নৌকা চলা জয়গাছি খাল” শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

** দখলের কারণে মরে যাচ্ছে নৌকা চলা জয়গাছি খাল

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।