ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাকরির বিজ্ঞাপনের ফাঁদ: ২৫ ভুক্তভোগীর দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
চাকরির বিজ্ঞাপনের ফাঁদ: ২৫ ভুক্তভোগীর দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ

ঢাকা: প্রতিষ্ঠানের নাম ‘নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’, কার্যালয় রাজধানীর উত্তরা এলাকায়। বিভিন্ন পত্রিকায় কথিত প্রতিষ্ঠানটির নামে আকর্ষণীয় বেতনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অন্তত ২৫ জনের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।

প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে চাকরি প্রত্যাশীদের দামি ল্যাপটপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখানো হতো। পরে তাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে মোটা অংকের টাকা রেখে দিতেন চক্রের মূলহোতা মো. মুজিবুর রহমান।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রটির মূলহোতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রতারক চক্রের গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলেন- দুই নারী সহযোগী লাবনী আক্তার(২৩) ও জান্নাতুল ফেরদৌস ময়না (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ফোন, ৬০ বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের  ৪০টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৪৮টি বায়োডাটা ও ৩০ এর অধিক ভূঁইফোড় কোম্পানি/এনজিওর নামে তৈরি করা নিয়োগপত্র ও রাবার স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে উত্তরার দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকা অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উত্তরায় নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে একটি অফিস খুলে বিভিন্ন পত্রিকায় ভুঁইফোড় কোম্পানির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করত চক্রটি। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিত ও বেকার অসংখ্য যুবক প্রতারিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সাইবার পুলিশ সেন্টারে (সিপিসি) একটি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চক্রের প্রধান মজিবুর রহমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, এই লোক গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৫ চাকরি প্রত্যাশীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে মুজিবুর বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছেন। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে এসে একই কাজ করে আসছেন।

গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এসজেএ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।