ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর সফলতার পেছনে ছিল বঙ্গমাতার অবদান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর সফলতার পেছনে ছিল বঙ্গমাতার অবদান

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সফলতার পেছনে ছিলেন। বর্তমানে তাকে আড়াল থেকে আলোয় আনা হচ্ছে।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিনে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আয়োজনে 'বঙ্গমাতা: ইতিহাসের সাহসী মানুষ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কাজ করি, তিনি তার মায়ের মতো কথা বলেন কেবিনেট মিটিংয়ে, মনের মতো কথা বলেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) লাকড়ি দিয়ে মায়ের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় রান্না করার গল্প করেন, ছোটবেলায় আমার মাকেও দেখেছি।  

উপমহাদেশের আগের নেতৃত্ব ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড, আলীগড় নিদেনপক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই প্রথম আমরা আকাশ থেকে নামলাম। শেখ মুজিবকে নেতৃত্ব দিতে দেখলাম। যিনি বাংলার মাটি থেকে উঠে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু সফল হয়েছিলেন কারণ গ্রামের মানুষ, কৃষক, শ্রমিক এদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও তার বাবার মতো গ্রাম-গঞ্জ নিয়ে ভাবেন। আর বঙ্গমাতাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সফলতার পেছনে ছিলেন। বর্তমানে তাকে আড়াল থেকে আলোয় আনা হচ্ছে।

শিক্ষাবিদ ডাকসু'র সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করা মামলা যে টিকবে না সেটা বুঝতে পেরে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেন, কোনো অবস্থাতেই মুচলেকা দিয়ে প্যারোলে মুক্তি নেওয়া যাবে না। বঙ্গমাতার পদক্ষেপেই তখন প্যারোলে মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যায়, পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিনা শর্তে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু।  

তিনি বলেন, এদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনন্য। ছয় দফার আন্দোলনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার সাক্ষী আমি নিজেই।

শিক্ষাবিদ ও শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, রেণু নিজের জন্য কোনো খরচ করতো না, যা জমাতো সবই বঙ্গবন্ধুর হাত খরচ ও সংগঠনের জন্য করতেন। বঙ্গবন্ধু জেলে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের রক্ষা করা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। এসব করেছেন তিনি (ফজিলাতুন্নেছা) পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও গোয়েন্দাদের উপেক্ষা করে।  

সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী একবার পত্রিকা বের করতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে বললে তিনি টাকা নেওয়ার জন্য পরেরদিন দেখা করতে বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাতেই গ্রেফতার হয়ে জেলে চলে যান। গাফফার চৌধুরী যখন ঘোর দুশ্চিন্তায় তখন বঙ্গমাতা তাকে ডাকলেন পরেরদিন। টাকা দিয়ে বঙ্গমাতা বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এ টাকা দিতে বলেছেন। এরকমই দায়িত্বশীল ছিলেন বঙ্গমাতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
এনবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।