ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনের রাস্তায় বসলো ডিভাইডার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনের রাস্তায় বসলো ডিভাইডার

ঢাকা: অ্যাপসের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল এবং হাসপাতাল কেন্দ্রিক অস্বাস্থ্যকর অবৈধ দোকান ও দালালদের অবস্থান নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সামনে বসানো হয়েছে রোড ডিভাইডার। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সামনের সড়ক হয়ে প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে ভাষা আন্দোলনের গেট পর্যন্ত বসানো হয়েছে এই ডিভাইডার (বিভাজন)।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কাজের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। ডোনেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে এ বিষয়ে কথা হয় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের সঙ্গে।

তিনি জানান, বেপরোয়াভাবে হাসপাতালে গাড়ি প্রবেশ, বিশৃঙ্খল ভাবে পার্কিং এগুলোসহ জরুরি বিভাগের প্রবেশ মুখে অস্বাস্থ্যকর অবৈধ দোকানের অবস্থান নিয়ন্ত্রণের  পাশাপাশি দালালরা যাতে অবস্থান করতে না পারে সে জন্যই এই ডিভাইডার  বসানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অ্যাপসের মাধ্যমে ৮০টি অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের আনা নেওয়া করবে। অলরেডি এটা পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে। ওই অ্যাপসের মাধ্যমেই রোগীরা কোথায় যাবেন এবং সহনশীল ভাড়া নির্ধারণ করে যাতায়াত করবেন তারা। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের জন্য জরুরি বিভাগের পাশে নতুন করে সাজিয়ে পার্কিং স্পট করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পার্কিং করছে। হাসপাতালের ভেতরে যেখানে সেখানে পার্কিং করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বাধাগ্রস্ত এবং দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স করে অন্য হাসপাতালে রোগী নেওয়া এখন থেকে আর চলবে না। কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশ এক কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না। কারণ রাস্তায় ডিভাইডার বসানোর বিষয়টি তাদের সঙ্গে কয়েক দিন আলোচনা ও ম্যাপের মাধ্যমে পর্যালোচনা করে তারপর এটা করা হয়েছে। গাড়িসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ডিভাইডার গুলো বসানো হয়েছে। হাসপাতালে সবার সহযোগিতায় এই কাজগুলো করতে পেরেছি। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় ডিভাইডারগুলো বসানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরামর্শে আমরা ভুলগুলো শুধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছি।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদ প্রকাশের পর  হাসপাতাল সংলগ্ন বাইরের দোকানগুলিতে  অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকারের বিদ্যুত বিভাগের লোকজন। এরপর পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতায় অবৈধ দোকানগুলি একেবারে উচ্ছেদ করে। এসব দোকান আর যেন বসতে না পারে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে যেন চলাচল করতে পারে ওস জন্য এই ব্যবস্থা। এছাড়া হাসপাতালে রোগী প্রবেশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, এ সব কিছু মাথায় রেখেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

>>> আরও পড়ুন: চোরা লাইনে আলোকিত শতাধিক অবৈধ দোকান

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।