ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক বিদ্যালয়ের সভাপতিকে পুলিশে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। উপজেলার রুপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সদস্য করা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে রোববার (৭ আগস্ট) সকালে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজাহান মোল্যা ডহরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুক্তার হোসেনকে মোবাইল ফোনে জানায়। পরে মুক্তার হোসেন এসে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যাকে (৪৪) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোয়ালমারী থানায় পাঠিয়ে দেন। এরপর রাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান মোল্যার উপস্থিতিতে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি (মো. কায়ূম মোল্যা)।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজাহান মোল্যা বলেন, সভাপতি আমার কাছে একটি নিয়োগ পরীক্ষার বিগত দিনের কাগজপত্র চান। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলার কারণে সভাপতিকে পুলিশ আটক করে। তবে, রাতে মুচলেকা দিয়ে তিনি থানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
অপরদিকে সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যা বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছে গত ৫ মাসের স্কুলের আয় ও খরচের ভাউচার চাওয়া হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় প্রধান শিক্ষক পুলিশকে ফোন করে আমাকে ধরিয়ে দেন।
ডহরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যা লোকজন নিয়ে স্কুলে ঢুকে রেজুলেশনে জোর করে স্বাক্ষর নিতে গিয়েছিলেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে জানালে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোয়ালমারী থানায় পাঠানো হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কায়ূম মোল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সভাপতি মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
এমএমজেড
