চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নূরনগর-জাফরপুর এলাকায় দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন আরোহী নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুনু হোসেন আনন্দ (২৬), কলোনিপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে মিঠু আলী (২২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বাসিন্দা মুক্তা হালদার।  

আহত একজন হলেন- রাজশাহীর বাঘমারা থানার মোহনপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে রনি আহমেদ। তিনি এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল নামে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। নিহত মুক্তাও একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনন্দ ও মিঠু একই মোটরসাইকলে যোগে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল।  

অপরদিকে, আরেকটি মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল এভারেস্ট ওষুধ কোম্পানির দু’জন প্রতিনিধি। এ সময় জাফরপুর যুব উন্নয়ন ভবনের সামনে এলে দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনন্দ ও মিঠু। গুরুতর জখম হন রনি ও মুক্তা। পরে তাদর উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মুক্তা হালদারও।

চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন জানান, আহত রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ সুরতহাল শেষে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এসআরএস