ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাস না পেরোতেই চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারও চুরি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
মাস না পেরোতেই চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারও চুরি

দিনাজপুর: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নগদ অর্থ চুরি হওয়ার ২৪ দিনের মাথায় আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার প্রশাসনিক এলাকার চারটি রুমের তালা ভেঙে সেখানে থাকা বিভিন্ন কাগজপত্র তছনছ করেছেন চোরেরা।

তবে কি কি চুরি হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাতের কোনো এক সময়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার রুম, কেশিয়ারের রুম, পরিসংখ্যান রুম ও অফিস সহকারীর রুমের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন চোরেরা। এ সময় কাগজপত্র তছনছ করে রুমের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়।

চুরির সংবাদ পেয়ে এদিন দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন বোরহান-উল ইসলাম ও চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন।

কথা হলে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসনাত বলেন, রাতে অফিস সহকারীর রুমের পেছনে জানালার গ্রিল ভেঙে সেখানে চোর প্রবেশ করে। পরে একে একে পরিসংখ্যান রুম, ক্যাশিয়ার রুম এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার রুমের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন তারা। তবে চোরেরা কি কি নিয়ে গেছে আমরা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। অফিস চালানোর জন্য সেখানে কিছু অর্থ থাকতে পারে। সম্ভবত সেই অর্থ খোয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সে ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. বোরহান-উল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কি কি চুরি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগেও হাসপাতাল থেকে টাকা চুরির একটা ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে তখন এতো টাকা হাসপাতালে রাখার কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।

উল্লেখ্য, চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক এলাকায় জুলাই মাসের ৩ তারিখ দিনগত রাতে কোষাধ্যক্ষের রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে স্টিলের আলমারি ও টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত ১৪ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময় সিভিল সার্জন ১৪ লাখ টাকা চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগে নয় লাখ ৭০ হাজার টাকা চুরির কথা উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।