ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে দুই সন্তানের জননী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে দুই সন্তানের জননী

রাজশাহী: পরিচিত হওয়ার সুবাদে কথা বলা শুরু হয় ফোনে। এরপর সেই ফোনালাপের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।

এরপর শরীরিক সম্পর্কে। এখন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন সেই প্রেমিকা।

বিপত্তি বাধে প্রেমিকের বয়সে, কিশোর প্রেমিক এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আর প্রেমিকা বিবাহিত নারী এবং দুই সন্তানের জননী! তার ছয় ও দুই বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর পন্ডিতপাড়া গ্রামে। তিনদিন ধরে এ অনশন চলছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বামী-সন্তান রেখে কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে কিশোর। অনশনরত গৃহবধূ এবং প্রেমিক কিশোরের অসুস্থ মা ও বোন ছাড়া কেউ এখন ওই বাড়িতে নেই।

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় বিয়ের দাবি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে যান ওই গৃহবধূ। কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে তার বাড়িতেই অবস্থান নেন। তাদের দু’জনের বাড়ি একই এলাকায়।


ওই গৃহবধূর দাবি- পরিচয়ের সূত্র ধরে গত রমজান মাস থেকে ওই কিশোরের সঙ্গে তার ফোনে কথা বলা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর মাঝে ইমোতে কথা বলার কোনো এক সময় আপত্তিকর কিছু ছবি ওঠানো হয়। পরে ওই ছবি দেখিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে ওই কিশোর। সেই ছবির ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। পরে কিশোরের কথামতো তার দেওয়া ঘুমের ওষুধ আমার স্বামীকে খাইয়ে রাতে প্রেমিকের বাড়িতে যান ওই গৃহবধূ। সেই রাতে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই থেকে বিয়ে ও মেয়েদের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাসে এ সম্পর্ক চলছিল।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই গৃহবধূকে আর গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর চেয়ারম্যানকে এবং থানাকে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ এসে স্থানীয়ভাবে সমাঝোতার কথা বলে চলে গেছে।

জানতে চাইলে বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি গিয়েছিলেন। ওই গৃহবধূকে ছেলের বাড়ির লোকদের জিম্মায় রেখে এসেছেন এবং তাদের ছেলেকে হাজির করতে বলে এসেছেন। সে আসলে একটা সমধানের চেষ্টা করা হবে।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। তাই স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে। আর যদি সমাধান না হয় তাহলে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
এসএস/এসএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।