ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ১৮০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
নীলফামারীতে কাঁচামরিচের দাম  বেড়ে ১৮০

নীলফামারী : সরবরাহ কমের অজুহাতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে নীলফামারী জেলা শহরের কিচেন মার্কেটে দেশি কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সারাদিন এ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৮০ টাকা কেজি দরে দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে।

অথচ আগের দিন পাইকারি বাজারে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরাও কেজিতে ৩০ টাকা করে লাভ করছেন।

১৮০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে কিচেন মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় আমদানি কমছে। যে মরিচ আছে তা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের শীতারপাঠ গ্রামের। সকালে গাছ থেকে মরিচ ছিঁড়ে ১০টার মধ্যে বাজারে দিয়ে যায়। তাজা হিসেবে মানুষ কিনছেও প্রচুর। তাই একটু দাম বেশি। আর বাসি মরিচ (আমদানিকৃত) বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।

ওই মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী শেখ কামাল আহমেদ (৩৫) জানান, প্রকারভেদে বাজারে কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করছে। আমদানিকৃত মরিচের প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। একই মরিচ খুচরা বাজারে আবার বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাঁচামালের ঘাটতি হয়, তারপর বাসি হলে কেজিতে ২৫০ গ্রাম কমে যায়। এছাড়াও অতি গরমে বস্তায় পচে যায়। তাই লোকসান ঠেকাতে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আবার স্থানীয় দেশি মরিচ ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি কাঁচামরিচ একই বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় কিনে তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। ক্রেতারা জানান, সাতদিন আগে ৯০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হয়েছে। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে আজকে ১৮০ টাকা কেজি ধরে কিনতে হচ্ছে।

জেলা শহরের নিউ বাবুপাড়ার কৃষি শ্রমিক মজিদুল ইসলাম বলেন, এক দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের মতো মানুষের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আমদানির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব দেখার কেউ নাই।

জেলা শহরের কিচেন মার্কেটের কাঁচামাল আড়তদার আব্দুল হাকিম জানান, মোকামে আমদানি কম; মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তা বস্তায় গরমে পচে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় মরিচ উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকায় বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে সরবরাহ কমেছে। আগে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হলেও বর্তমানে পাঁচ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ জন্য আমাদেরকে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে।

জেলা হাট বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা এটি এম এরশাদ আলম খান বলেন, বাজারে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে না পারে, সে জন্য আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। মরিচ, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জানান, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলতে অতিরিক্ত মুনাফা ভোক্তাদের কাছে হাতিয়ে নিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ২০৫০ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।