ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গৌরনদীতে অগ্নিকাণ্ডে দুই বসতঘরসহ ৬ ঘর পুড়ে ছাই 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
গৌরনদীতে অগ্নিকাণ্ডে দুই বসতঘরসহ ৬ ঘর পুড়ে ছাই 

বরিশাল: বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় আগুনে পুড়ে গেছে দুটি বসতঘরসহ গোয়ালঘর ও তিন রান্নাঘর। অগ্নিকাণ্ডে মালামাল পুড়ে যাওয়াসহ গরু, হাস, মুরগী ও কবুতরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

 

ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার (২২ জুলাই) ফজরের নামাজের পর গৌরনদী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের গেরাকুল সর্দার বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের গোয়ালঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে আগুন মোস্তাফিজুর রহমানের বসতঘর, পাশের ভাই প্রভাষক নজরুল ইসলামের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে তিনটি রান্নাঘর পুড়েছে।  
 
টিম লিডার শাহাদাত বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মোস্তাফিজুর রহমানের ঘর, ভাই নজরুল ইসলামের ঘর, তিনটি রান্নাঘর ও একটি গোয়ালঘর সম্পূর্ণs পুড়ে গেছে।
 
তিনি বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ভাই হান্নান সরদার বড় টিন-কাঠের এক ঘরে বাস করতেন। ওই ঘরে বেশ কয়েকজন সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকুরি করেন। ঘরটিতে বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিলো। এর মধ্যে নগদ সাত লাখ টাকা, স্বর্নালংকার, দুইটি ফ্রিজ, আসবাপত্রসহ ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। প্রভাষক নজরুল ইসলাম সরদারের ঘর তালাবদ্ধ ছিলো। তার ঘরে কি কি মালামাল ছিলো তা কেউ জানাতে পারেনি।  

শাহাদাত বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় ৯০ লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করেছেন। অগ্নিকাণ্ডে একটি গরু, ৪০টি হাস, ১৫টি মুরগী ও ২০টি কবুতর পুড়ে মারা গেছে। আরও দুইটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। গরু দুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহাদাত আরও বলেন, বাড়ির এক নারী ফজরের নামাজ পড়ে গোয়াল ঘরে প্রথমে আগুন দেখতে পান। আগুন দ্রুত রান্নাঘরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েল কিংবা শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবুও তদন্ত না করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।  

মোস্তাফিজুর রহমানের জামাতা ও পুলিশের কনষ্টেবল মো. ইস্রাফিল তালুকদার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হস্যজনক। যেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের শুরু, গোয়ালঘরের সেই স্থানে আগুন ধরার কোনো কারণ নাই।  

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মালামালের সঙ্গে তার সরকারি চাকুরিজীবী স্ত্রী ও শ্যালিকাদের শিক্ষাগত সনদসহ মুল্যবান কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তার দাবি ৫২ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুইটি ঘরের তিনটি পরিবারের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে গেছে। আপাতত তিনটি পরিবারকে ৫ বান টিন ও নগদ সাত হাজার টাকা দিচ্ছি আমরা। এর মধ্যে একটি পরিবারকে এক বান টিন ও তিন হাজার টাকা, অপর দুইটি পরিবারকে ২ বান করে টিন ও তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।  

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।