ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরায় দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
মাগুরায় দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ এডিসি খন্দকার লাবণী আক্তার ও পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান

মাগুরা: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তারের আত্মহত্যার কারণ জানে না পুলিশ। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।

 

বুধবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এডিসি লাবণী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন। তিনি বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ছিলেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন বলেন, প্রায় ১০ বছর হলো লাবনীর বিয়ে হয়েছে, তার দুটি সন্তান রয়েছে। তবে স্বামীর সঙ্গে লাবণীর সম্পর্ক ভালো ছিল না।

তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানা গেছে।

লাবণী আক্তারের স্বামী মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা তারেক আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিডি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরে বসবাস করছেন।

লাবণী আক্তারের মামা নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে লাবণী শ্রীপুর সাঙ্গোদিয়ায় নানা বাড়ি বেড়াতে আসেন। তবে আমরা যতটুকু জানি স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। এ কারণেই সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনস থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপলুবাড়িয়া গ্রামে। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।

কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বাবা এজাজুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, আমিও একজন পুলিশ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত আছি। গতকাল রাতে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল।

মাগুরা পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাতে নানাবাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন লাবণী আক্তার। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাগুরায় দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু কী কারণে হয়েছে, তা বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।