ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রাণী চিকিৎসায় চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ক্লিনিক: মন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
প্রাণী চিকিৎসায় চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ক্লিনিক: মন্ত্রী 

ঢাকা: দ্রুততম সময়ে খামারিদের দোরগোড়ায় জরুরি প্রাণী চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ক্লিনিক চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য মোবাইল ক্লিনিক হয়নি।

কিন্তু পশুপাখি ও প্রাণীর জন্য ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৯৯ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ক্লিনিক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এ প্রতিপাদ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আধুনিকতাকে সামনে নিয়ে আসতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রাণীদের প্রতি মমত্বের জায়গা দায়িত্বের অধীনে নিয়ে আসার জন্য মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বড় আকারের গবাদিপশুকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তাকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ এতদিন ছিল না। সেজন্য সরকার পরিকল্পনা নেয় হাসপাতালে প্রাণী নয়, প্রাণীর কাছে চলে যাবে হাসপাতাল। এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, এ পরিবর্তনের কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। আমরা সবাই মিলে তার নির্দেশনায় কাজ করেছি বিধায় এখানে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। মাছ, মাংস ও ডিমে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। অদূর ভবিষ্যতে দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে। মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারেও আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

তিনি বলেন, খাবারের একটা বড় যোগান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত এগিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা, জিডিপির অর্জন, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা, বেকারত্ব দূর করাসহ নানা ক্ষেত্রে এ খাতের ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে এ খাতে সরকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ অন্যান্য খাতে যে উন্নয়ন হবে সেটি হবে বিশ্বের বিস্ময়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।  

অনুষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা ক্লিনিকের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ৬১টি উপজেলায় ৬১টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে আজ আরও ২৯৯টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে একটি করে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।