ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি খুলনার ৩৫৪ পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি খুলনার ৩৫৪ পরিবার

খুলনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলেন।

উক্ত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় ২০টি, তেরখাদায় ৫২টি, ডুমুরিয়ায় ৯০টি, পাইকগাছায় ৪৭টি, দাকোপে ১০টি, কয়রায় ১০টি ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১২৫টি পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর পেয়ে খুশি এসব পরিবার

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সরাসরি উপজেলার ১২৫টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তিনি বলেন, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতা, উপকারভোগীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত হয় ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।

খুলনা জেলায় প্রথম পর্যায়ে জমির দলিলসহ ৯২২টি গৃহ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৩৫১টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে মোট ৯০৬টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে প্রথম ধাপে হস্তান্তর হয়েছে ৪৭৩টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৫৪টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। নির্মাণাধীন রয়েছে ৭৯টি গৃহ।

উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত মোট একক গৃহের সংখ্যা এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জমির দলিলসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দকৃত গৃহের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি। যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল-২০২২ তারিখে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। আজ ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তকরা হয়। নির্মাণাধীন রয়েছে আট হাজার ৬৬৭টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad