ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা আজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা আজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই)  সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুই উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করবেন।

 

জেলার মোট ৪৩৬টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আজ জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হবে।  

এছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ১৪২টি গৃহ গৃহহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।  

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় রামগতির চর কলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর কার্যক্রমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন। রায়পুর উপজেলার ৪১৫টি এবং রামগঞ্জ উপজেলার ৩৯২টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বসান করা হয়েছে। এ দুই উপজেলারতে আর কোনো গৃহহীন পরিবার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক।  

তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট 'ক' শ্রেণীর ৩ হাজার ২২৮টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্য ১ম ও ২য় পর্যায়ে ১৭৮৬টি গৃহ নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। জেলার ৫২টি স্থানে প্রায় ৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করে ১৭৮৬টি গৃহ নির্মাণ করা হয়।  

৩য় পর্যায়ে আরও ১৪৪২ টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১ম ধাপে উদ্বোধনকৃত ঘরের সংখ্যা ২৮০টি, ২য় ধাপে উদ্বোধনযোগ্য ঘরের সংখ্যা ৪৩৬টি এবং নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ৭২৬টি।  

তিনি জানান, ৩য় পর্যায়ে ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ২৭ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে, যারা মূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ৩ কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ একর ৪৯ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়েছে। জেলার মোট ৩২টি স্থানে ১৪৪২টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, নদী ভাঙা, ভিক্ষুক, বেদে ও অস্বচ্ছল পরিবারকে এসব গৃহে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।  

১ম পর্যায়ের প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২য় পর্যায়ের ঘরের জন্য ১ লাখা ৯১ হাজার টাকা ও ৩য় পর্যায়ের ঘরের জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য পুকুর, ঘাটলা, রাস্তাঘাট তৈরী করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ।  

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছার মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখতে ছুটে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজ-হাতে মাটি ভরাটের কাজে অংশ নিয়ে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য উদ্বোধন করেছিলেন ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রকল্প। সেখানে ২১০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। প্রতি পরিবারের মাঝে ২.৫ একর করে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের করে দিলেন স্থায়ী ঠিকানা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এসএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।