ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ, অব্যবস্থাপনা, যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও আসনসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয় শহরের চৌরাস্তায় সচেতন নাগরিক ও ভূক্তভোগী রেলযাত্রীদের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভূক্তভোগী আজমত রানা, রাজিউর রহমান, আব্দুল লতিফসহ আরও অনেকে।
সেখানে রেলের অব্যস্থাপনা ও টিকেট কালোবাজারির অবস্থান নেওয়া মহিউদ্দিন রনির প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন নাগরিক ও ভূক্তভোগী রেল যাত্রীরা।
সমাবেশে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি এক টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে একান্তভাবে আলাপ করে জানতে পারি, সহজ ডটকম তাদের পরিচিত টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ১০ মিনিটের জন্য ওয়েবসাইট ওপেন করে টিকিট ব্লক করার সুযোগ করে দেয়। এ সময় কথিত সেই টিকেট কালোবাজারি চ্যালেঞ্জ করেন যে, টিকিটের এ অনিয়ম কখনোই বন্ধ হবে না। কারণ এতে রেলের বড় বড় কর্মকর্তারা জড়িত আছেন।
সাংস্কৃতিক কর্মী মাসুদ আহম্মেদ সুবর্ণ বলেন, ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে টিকেট কালোবাজারির সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে, বারবার প্রতিবাদ করেও এটি রোধ করা যাচ্ছে না। যাত্রীদের জিম্মি করে ৫০০ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। প্রতিদিন একই ব্যক্তিরা কাউন্টারে দাড়িয়ে টিকিট কাটছেন। তাদের চিহ্নিত করতেও ব্যর্থ রেল কর্তৃপক্ষ। আমরা এসব অনিয়ম বন্ধ চাই। অন্যথায় আরও দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ভূক্তভোগী রাজিউর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন ছিল না। আমরা ট্রেনের জন্য রেল লাইনে শুয়ে আন্দোলন করেছি। একে একে ৫ টি ট্রেন পেয়েছি। কিন্তু এতে করে যাত্রীরা সুবিধা না পেলেও টিকেট কালোবাজারিদের সুবিধা হয়েছে। যদি অনতিবিলম্বে টিকেট কালোবাজারি বন্ধ করা না হয়, তাহলে আবারও প্রবল আন্দোলন করা হবে। সেইসঙ্গে আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
এফআর
