ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কানাইঘাটে নাজিম হত্যার রহস্য উদঘাটন, নেপথ্যে নারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
কানাইঘাটে নাজিম হত্যার রহস্য উদঘাটন, নেপথ্যে নারী গ্রেফতার রুহেল আহমেদ ওরফে রেকেল

সিলেট: গত বুধবার (১৩ জুলাই) সিলেটের কানাইঘাট থানাধীন রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালাইউরায় সুরমা নদীর পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

পরে স্থানীয়রা জানান, মরদেহটি কানাইঘাট উপজেলার নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিনের। মরদেহের প্রাথমিক অবস্থা দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।

বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নজরে আসলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি অ্যান্ড মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান ও কানাইঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল করিমের সমন্বয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হত্যার রহস্য উদঘাটনে। এরপর প্রকৃত আসামি গ্রেফতারে জোর তৎরতা শুরু করেন তারা।

কমিটির সদস্যরা কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা রুজু পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য দিক-নির্দেশনা দেন।

একপর্যায়ে সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ইউনিট ঘটনা সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার মহরম আলীর ছেলে রুহেল আহমেদ ওরফে রেকেল সোমবার (১৮ জুলাই) আটক করে।   তিনি পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়,  ভিকটিম নাজিম ও রুহেলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক ছিল। মাঝে মধ্যে তারা অন্য এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতেন। ঈদ পরবর্তী সময়ে ভিকটিম নাজিম আসামি রুহেলকে নারী আনার জন্য বললে তিনি পারেননি। এক পর্যায়ে নারী জোগাড় করতে না পারলে রুহেলকে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসতে বলেন নাজিম।

পরবর্তীতে এশার নামাজের পর নদীর পাড়ে এসে তারা দু’জনে ধূমপান করতে থাকেন। এ সময় নাজিম ফের রুহেলকে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তখন রুহেল আগে থেকে লুকিয়ে রাখা মুগর দিয়ে নাজিমের মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন। এতে মারা যান নাজিম। পরে রুহেল ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।  

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় সহজেই একটি ক্লুলেস হত্যার নেপথ্যের আসামিকে শনাক্ত করতে পেরেছি।  

তিনি বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশ সদস্যরা অপরাধ দমন ও নিবারণে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের প্রমাণ রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।