ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞার পরও ইলিশ নিয়ে মোকামে আসছে ফিশিং বোট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
নিষেধাজ্ঞার পরও ইলিশ নিয়ে মোকামে আসছে ফিশিং বোট সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে মোকামে আসা ফিশিং বোট

বরিশাল: সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে থাকে নিষেধাজ্ঞা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

তবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সামুদ্রিক ইলিশ নিয়ে বরিশালে মোকামে আসছে ফিশিং বোট (মাছ ধরার ট্রলার)।

সোমবার (১৮ জুলাই) নগরের পোর্ট রোডে অবস্থিত বেসরকারি মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় মৎস অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে- স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মোকামে ইলিশের আমদানি অনেকটাই কম। মোকামের পূর্ব দিকের খালে বাধা দুটি ফিশিং বোট থেকে সমুদ্রের ইলিশ নামানোর কাজ চলছে। আর তার পাশেই রয়েছে নদী থেকে আহরণ করা ইলিশ বোঝাই আরও একটি মাঝারি আকারের বোট। এসব বোট থেকে ইলিশ নামতে শুরু হওয়া মাত্রই পুরো অবতরণ কেন্দ্রে কয়েকগুণ বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা।

জেলে ও ফিশিং বোটের মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সাগরে ইলিশ শিকারে কোনো বাধার মধ্যে পড়তে হয়নি। তারা (জেলে) সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে মাছ শিকার করেছেন। তাই ৪-৮ দিনের মধ্যে আবার ফেরত এসেছেন। এখন সেই মাছ বিক্রি করে আবার রওয়ানা দেবেন মাছ শিকারের জন্য। আর এর ফাঁকেই তারা জাল মেরামত, জ্বালানি ও খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের কাজ সেরে ফেলছেন।

এদিকে বরগুনা, পাথরঘাটা ও মহিপুর থেকে সাগরে যাওয়াটায় বেশ কষ্টকর। এর কারণ কঠোর নিষেধাজ্ঞা। তাই জেলেরা কৌশলে অন্য জায়গা দিয়ে মাছ শিকারে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ফিশিং বোটের জেলে ও ভোলার বাসিন্দা শরীফের কাছে সমুদ্রের নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাগর থেকে ৮ দিন পরে আইলাম, কই কোনো জায়গাতে কোনো সমস্যা হয় নাই। দিন হিসেবে ইলিশও ভালো পাইছি।

জেলে ও মেহেন্দিগঞ্জের বাসিন্দা রহিমও মাছ শিকারে সমুদ্রে কোনো সমস্যা হয়নি জানিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলে কি না, হেই বিষয়ে তো মুই জানিনা, তয় মাঝিরে জিগান হে কইতে পারবে।

কথা হলে মাঝি জালাল আকন বলেন, ৪ দিনে যে ইলিশ পাইছি, হেগুলার (সেগুলোর) সাইজ তো ভালোই। আশা করি সামনে আরও বেশি ভালো সাইজের ইলিশ ধরা পড়বে।

এ আড়তের পাইকার ব্যবসায়ী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, সমুদ্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে মোকামে কিছুটা কম মাছ রয়েছে, তবে বর্তমানে নদী ও সাগর উভয় জায়গার ইলিশ’ই আছে।

মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে নয়, নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকা নদীর মোহনাতেই মাছ শিকার করেছেন জেলেরা। তারপরও দু’একটি বোট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যেতে পারে। তবে এর সংখ্যা খুবই কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।