ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
মাগুরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী 

মাগুরা: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাগুরা জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় জেলায় ৬৭২টি পরিবারকে ভূমি ও গৃহ উপহার দেওয়া হয়েছে।

 

গৃহহীন মানুষ পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, হয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। জীবন মানে এসেছে পরিবর্তন। দুই শতক জমির ওপর ঘর তার পাশে খালি জায়গায় করেছে সবজি চাষ। পূরণ হচ্ছে পুষ্টির চাহিদা। কষ্টের দিনগুলোর কথা ভুলে গিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে শালিখা উপজেলার ফকিরের বাচড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ১৫টি পরিবার।
 
শনিবার (১৬ জুলাই) শালিখা উপজেলার ফকিরের বাচড়া ও মহম্মদপুর চর জাংগালিয়ায় গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, শালিখা উপজেলা নিবার্হি অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট কামাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসার রেজাউল করিমসহ কমকর্তারা।

তারা শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শালিখা উপজেলার তালখড়িতে নির্মাণ হওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, একই ‍উপজেলায় শতখালি ইউনিয়নে ফকিরের বাচড়া গ্রামের দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প, শালিখা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সোনাকুড়, কোতপুর গ্রাম দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
 
শালিখা উপজেলার ফকিরের বাচড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা হাজেরা বেগম (৩৫) বলেন, স্বামী মারা গেছে ১২ বছর হয়েছে। তারপর থেকে ছেলে সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকেছি। এখন ছেলেকে নিয়ে পাকা বাড়িতে থাকি। ঘরের সামনে খালি জায়গায় সবজির চাষ করেছি। হাঁস মুরগি পালন করছি। এখন অনেক ভালো আছি। শুধু হাজেরা বেগম নয় তার মতো অনেকেই এখানে ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে।
 
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আয়শ্রণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় মোট ৬৭২টি পরিবারকে গৃহ ও দুই শতক জমিসহ দলিল দেওয়া হয়েছে। এখানে আধুনিক সব ‍সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি। চলতি জুলাই মাসের ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইটি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। তার মধ্যে মাগুরা একটি অপরটি পঞ্চগড়। মাগুরা জেলার এই গর্বিত কাজের অংশ হিসেবে আমরা সত্যিই গর্বিত। আমরা দুই বছর ধরে নিবিড়ভাবে কাজগুলো শেষ করেছি। প্রাথমকিভাবে ক তালিকায় ৭৭৫ জনের তালিকা নিয়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করি। এ পর্যায়ে আমরা ৬৭২টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দিয়েছি। আমাদের এই ঘরগুলো জেলার ৪৮টি স্পটে নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এই কাজ করতে গিয়ে সরকারের ৮২ একর খাস জায়গা উদ্ধার করেছি। যেগুলো অব্যবহৃত ছিল। অপদখলে ছিল। ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার এই কাজ ভবিষতেও অব্যাহত থাকবে।  

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সুধি সমাজ সবাই আমাদের এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সহায়তা করেছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। মানুষ যেকোনো সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন হতে পারে। আমরা এই কাজ চলমান রাখবো। জেলায় এখনো খাস জমি রয়েছে আমরা যদি কোথায় গৃহহীন মানুষ পাই তাকে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ৯১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ