ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিশ্বজিৎ হত্যা: গ্রেফতার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
বিশ্বজিৎ হত্যা: গ্রেফতার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে

পঞ্চগড়: ২০১২ সালের আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল আদালতে তোলা হলে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৫ এর বিচারক অলরাম কার্জী তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

এর আগে গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তার স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দিনগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তার বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেফতার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে আরও জানা যায়, বিশ্বজিৎ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর গ্রামের দাসপাড়া মহল্লার বাসিন্দা অনন্ত দাসের ছেলে। বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ওই দিনই সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

এরপর ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলায় রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেন, তারা খালাস পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।