মাগুরা: ছায়া সুনিবিড় আর প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা ছোট একটি গ্রাম মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার মদনপুর। সেই গ্রামের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিন রেজা রাসেল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কাজ করা এই মানুষটি নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু জাদুঘর। ইতোমধ্যে এই জাদুঘর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা শাহীন রেজা রাসেল জানান, বাংলাদেশে বেশ কিছু নদ-নদী ও সমুদ্রের পানি, গাছপালার পাতা, মাটিসহ বিভিন্ন কাঠের উপকরণ সংগ্রহ করেছি। উপকরণ সংগ্রহ এখনো চলমান রয়েছে। পরিবেশ রক্ষার সব উপকরণ থাকবে এই জাদুঘরে।
পাট কাঠি আর পলিথিনের তৈরি পরিবেশবান্ধব ঘরটিতে স্থান পেয়েছে পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ। দেওয়ালে টানানো আলোকচিত্র স্থানীয় শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে পরিবেশ রক্ষার ধারণা।
শ্রীপুর এম সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমি খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু জাদুঘরে এসে জানতে পারেছি পরিবেশ কীভাবে রক্ষা করতে হয়। তাছাড়া কোন কাজ করলে পরিবেশের ক্ষতি হয় তা দেওয়ালে টানানো আলোকচিত্র দেখে বুঝেছি।
মদনপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব গোলাম কাশেম বলেন, এই উপজেলা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে মানুষ জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন। আশা করি এই জাদুঘর একদিন বড় পরিসরে তৈরি হবে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহীন তার ব্যক্তি উদ্যোগে পরিবেশ ও জলবায়ু জাদুঘর নির্মাণ করেছে। প্রতিনিয়ত আমরা প্রকৃতিকে কোনো না কোনো উপায়ে ধ্বংস করছি। প্রকৃতি ও পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। সময়ে অসময়ে বৃষ্টির দেখা দিচ্ছে। ঝড়, বন্যা, খরা, তাপদাহ পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে হচ্ছে। তাই আমি আশা করি নতুন প্রজন্ম এই জাদুঘর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
কেএআর