ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষ বাণিজ্যের সত্যতা মিললেও বহাল তবিয়তে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
ঘুষ বাণিজ্যের সত্যতা মিললেও বহাল তবিয়তে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমানুল্লাহ আল-মামুন

বরগুনা : বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমানুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব অবহেলা, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগ।

তাকে বদলির আদেশও দেন বিভাগের পরিচালক।

কিন্তু তারপরও নিজ পদে বহাল তবিয়তেই আছেন আল-মামুন!

সোমবার (১১ জুলাই) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জুন বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমানুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, চিকিৎসকদের প্রতি দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির প্রধান ছিলেন ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন,।

অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিফাত আহমেদ, রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের। গত ১৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমানুল্লাহ আল-মামুনকে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় বদলির আদেশ দেন।

তার জায়গায় মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. তৈয়বুর রহমানকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৩০ জুনের মধ্যে অবশ্যই নতুন কর্মস্থলে যোগদানের সময় বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

এর আগে গত ২৪ মে আমানুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে কমপ্লেক্সের মাঠকর্মীরা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেন। এসব ঘটনায় বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান একই দিন সরেজমিনে এসে কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। বৈঠকের পর তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।  

কিন্তু এসব কর্মীদের আশার গুড়ে বালি পড়েছে। কোনো সমস্যার সমাধান ঘটেনি। বরং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমানুল্লাহ আল-মামুন বিনা কারণে কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার, গালিগালাজ ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। নিজ পদে বহাল থাকতে নানা অপচেষ্টাও করে যাচ্ছেন।

এসব অভিযোগের বিষয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমানুল্লাহ আল-মামুনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। কথা বলতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবশ্যই সরকারি বিধান মেনে চলতে হবে। তিনি কোনো স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবেন না। যা ঘটেছে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ২৩১৬ ঘণ্টা, ১১ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।