বাগেরহাট : ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে মসলা পণ্য চুঁইঝালের। পাশাপাাশ দামও বেড়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরা এলাকায় চুঁইঝালের চাষ হয়। মশলাটি এসব জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়। বর্তমানে দেশের অন্যান্য জেলাতেও মশলা হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
চুঁই লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর কাণ্ড ধূসর এবং পাতা পানের মতো। দেখতে সবুজ রংয়ের। চুইঝাল খেতে ঝাল হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ। চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল-ফল সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। মসলা হিসেবে এ উদ্ভিদের কাণ্ড ব্যবহৃত হয় হাঁসের ও গরুর মাংস রান্নায়।
চুঁইঝালে দশমিক ৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে আইসোফ্লাভোন, অ্যালকালয়েড, পিপালারিটিন, পোপিরন, পোলার্টিন, গ্লাইকোসাইডস,মিউসিলেজ, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সিজামিন, পিপলাস্টেরল।
বাগেরহাট শহরের সাধাণার মোড়ে চুঁইঝাল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ এলে চুঁইঝালের চাহিদা বাড়ে ব্যাপক হারে। ফলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।
হিদুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা জানান, আগে আকারে ছোট চুঁইঝাল বিক্রি হতো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। বড় সাইজের কাণ্ড বিক্রি করতাম ৮০০ টাকা কেজি। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদা বেশি। তাই এখন ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা কেজি বিক্রি করছি।
বাবুল ফকির নামের এক ক্রেতা জানালেন, বাজারে এখনই বেশ চাহিদা। ঈদের হওয়ার আগের দিনগুলোয় চাহিদা আরও বাড়বে। কোরবানি উপলক্ষে দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ করে প্রায় ৩০ টন চুঁইঝাল উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য দেড় কোটির টাকার বেশি। ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিকভাবে বাগেরহাটে দিন দিন চাষও বৃদ্ধি পাচ্ছে এ মসলা পণ্যের।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
এমজে