ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পশুর হাটে নিরাপত্তায় সিসিটিভি, সাদা পোশাকের পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
পশুর হাটে নিরাপত্তায় সিসিটিভি, সাদা পোশাকের পুলিশ

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ইদুল আজহা। নাগরিক ব্যস্ততার কারণে দেরিতে হলেও জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো।

হাট সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে পুরোদমে জমে উঠবে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। বাড়বে মানুষের আনাগোনা, কেনাবেচার সঙ্গে চলবে লেনদেন।

ব্যাপারী ও ক্রেতাদের সমাগমস্থল রাজধানীর পশুর হাটগুলো নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুরো হাট এলাকায় সিসিটিভি মনিটরিংসহ অজ্ঞান-মলমপার্টি প্রতিরোধে রয়েছে সাদা পোশাকের বিশেষ টিম।

জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় দুটি স্থায়ী হাটসহ মোট ২০টি পশুর হাট বসেছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৮টি অস্থায়ী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসেছে ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট। এছাড়া, ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু কেনা বেচা শুরু হয়েছে।

হাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। নিরাপত্তা নিশ্চিত, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ ও সড়কে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

সূত্র জানায়, ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের দুটি স্থায়ী ও ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাটে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প।  
এছাড়া হাটে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রদের প্রতিরোধে পোশাকধারি পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, জাল টাকা শনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে হাটগুলোতে। কারো সন্দেহ হলে নির্ধারিত স্থানে এসে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিনের মাধ্যমে টাকা যাচাই করে নিতে পারবেন। হাট কেন্দ্রিক টাকা পরিবহনে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের মানি অ্যাস্কর্ট ব্যবস্থা।

পশুর হাটে বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে নির্ধারিত সীমানার বাইরে কোনো ব্যাপারীকে পশু নিয়ে বসতে দেওয়া হবে না। হাটগুলোতে নির্ধারিত হাসিল আদায় করার বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর সব থেকে জমজমাট পশুর হাটগুলোর মধ্য অন্যতম গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট। এই হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় রাজধানীর অন্য সব হাটের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে গাবতলীসহ সকল পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন। কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হলে ভিড়ও বাড়বে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হাটগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।  

কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অজ্ঞান, মলম পার্টি, জাল টাকা রোধে পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছে র‌্যাব। অন্যদিকে, পশু আনা নেওয়ার সময় ট্রাকে যেন রাস্তায় কোনো ছিনতাই বা চাঁদাবাজির ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যেও সড়কে রয়েছে র‌্যাবের টহল টিম।

বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে রাজারবাগে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনের নির্দেশনা দেন।

আইজিপি বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো বা চেক করা যাবে না। কোরবানির পশু পরিবহনে রাস্তাঘাটে কোথাও কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। পশুর হাটে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনাও দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
পিএম/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।