ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জমি সংক্রান্ত বিরোধেই বাবাকে হত্যা করে ছেলে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
জমি সংক্রান্ত বিরোধেই বাবাকে হত্যা করে ছেলে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  
সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবা হযরত আলীকে হত্যা করে ছেলে জাহাঙ্গীর।

লাশ গুম করায় জাহাঙ্গীরকে সহযোগিতা করে নিহতের নাতি আসিফ। ইতোমধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার নিহতের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।

রোববার রাতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের নাতি মো. আসিফকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গ্রেফতার আসিফ দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২১ সালের ৩ মার্চ সকালে মির্জাপুর উপজেলার দেওভোগ দক্ষিণপাড়ার একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সেটি হযরত আলীর বলে শনাক্ত করেন। প্রথম পর্যায়ে এ ঘটনাটি থানা পুলিশ তদন্ত করলেও সম্প্রতি পিবিআই তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহতের নাতি আসিসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসিফ পুরো ঘটনা খুলে বলেন।  

তিনি আরও জানান, হযরত আলীর সঙ্গে তার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লার দীর্ঘদিন করে সম্পত্তির ভাগাভাগি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। মূলত এ কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আসিফ তার মায়ের কথা মতো ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নানাবাড়ি (হযরত আলী) যান। ওইদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর হযরত আলী জাহাঙ্গীকে তার সঙ্গে পুকুর পরিষ্কার করার জন্য যেতে বলেছিলেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর পুকুর পরিষ্কার করতে যাননি। পরে হযরত আলী পুকুর পরিষ্কার করে বাড়িতে ফিরে আসেন। এ সময় হযরত আলী তার ছেলে জাহাঙ্গীরকে বকাবকি করে এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় হযরত আলী তার নাতি আসিফ ও বড় ছেলে জাহাঙ্গীর মাছ ধরার জন্য পুকুরে যান। তখন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে একটি কাঠের লাঠি ছিল। তারা সবাই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে পুকুরের মাছ ধরে। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার বাবা হযরত আলীকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় আসিফকে তার মামা জাহাঙ্গীর হত্যার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে মরদেহ গুম করার জন্য সহযোগিতা করতে বলে। মরদেহ গুম করতে যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তাকেও হত্যা করে গুম করার হুমকি দেন জাহাঙ্গীর। পরে আসিফের মামা হযরত আলীর মরদেহ পুকুরের এক পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।