ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে বড় গরুর ক্রেতা সংকট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
বরিশালে বড় গরুর ক্রেতা সংকট

বরিশাল: বরিশালে কোরবানির ঈদকে ঘিরে এখনও পশুর হাট জমে না উঠলেও খামারিদের গরু বিক্রি হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি বড় আকারের গরু আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

তবে এখনও সেগুলো বিক্রিতে তেমন একটা সাড়া  মেলেনি।

খামারিরা বলছেন, গত দুই বছরের মতো এবারেও বরিশালে মাঝারি আকারের গরুতে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। আর বিশাল আকারের গরুগুলো দেখতে ক্রেতারা এলেও দরদাম করছেন না।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের খামারি শামীম সিকদার জানান, তার ফার্মে মাঝারি ও ছোট আকারের বেশ কয়েকটি গরু ছিল। এর মধ্য থেকে মাঝারি আকারের ছোট-বড় ষাঁড়গুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিক্রি হয়ে গেছে। তবে তার ফার্মে বিশাল আকৃতির একটি গরু রয়েছে, যেটির দাম হাঁকা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে চাহিদার কাছাকাছি দাম পেলেই ষাঁড়টি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান এই খামারি।

তিনি আরও জানান, ৪ বছর আগে দেশি চিটাগাং সিন্ধি জাত থেকে প্রজননের মাধ্যমে হলিস্টোন ফ্রিজিয়ান গরুটি সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর সেটির নাম দেন টাইগার। বর্তমানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা আসছেন বিশালাকৃতির গরুটি দেখতে। কিন্তু কেনার কথা তেমন কেউই বলছেন না।

এ কারণেই টাইগার নামের ষাঁড়টি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানান খামারি শামীম সিকদার। তিনি বলেন, এত বড় গরু এই এলাকায় বিক্রি করা মনে হয় সম্ভব হবে না। কোনো ধরনের রোগ-বালাই নেই, কোরবানির জন্যই ষাঁড় গরুটি প্রস্তুত করেছি। বাড়িতে বসে বিক্রি করতে না পারলে ঢাকা নিয়ে যাব।

হাফিজ উদ্দিন নামে চাঁদপুর থেকে আসা একজন ক্রেতা জানান, আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন ফার্ম ঘুরে দেখেছেন তিনি। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু গরু কিনেছেন। এসব গরু চাঁদপুরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করবেন। তবে চাহিদা কম থাকায় বিশাল আকৃতির গরু কেনার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে ২০ মণ ওজনের তুফানকে দেখতে প্রতিদিন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রানীরহাট বাজার সংলগ্ন ব্যবসায়ী এমদাদুল হক রায়হানের খামারে ভিড় করছেন মানুষজন। তবে দেখার জন্য যত মানুষ যাচ্ছে, কেনার কেউউ আসছে না বলে জানান এই খামারি। খামারে থাকতে বিক্রি না হলে তুফানকে হাটে তোলার চিন্তা করেছেন তিনি। প্রয়োজনে ঢাকার কোনো হাটে তুলবেন বলে জানান এমদাদুল।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করেছেন বিভিন্ন খামারি। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এই ধরনের ষাঁড় বা দামি গরু সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতারাই বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এই গরুর ক্রেতার খুবই সংকট। তবে আমরা চেষ্টা করছি আগ্রহী ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার। আমাদের মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিকভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা খামারের গরুগুলোর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad