মাগুরা: সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই শিশু সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসবাদ করা হয়।
চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুক জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা সমাজসেবা অফিসারের কক্ষে শিশু দুটির দাদা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, প্রভেশনাল অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, বাবুল আক্তার ও মিতু দম্পতির দুই সন্তান আক্তার মাহামুদ মাহিদ (১২) ও শিশু কন্যা তাবাসুমকে (৭) সকাল ১০টায় জেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়ে আনা হয়। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছোট বাচ্চাদের টানা তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা অমানবিক বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তার সন্তান বাবুল আক্তার একজন সৎ, বলিষ্ট ও ন্যায়নিষ্ঠ পুলিশ অফিসার ছিলেন। ৫ বার পিপিএম পদক পেয়েছেন। তাকে ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি মামলার ন্যায় বিচারের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত মুসাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। মুসা গ্রেফতার হলেই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বাবুল আক্তারের ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবু অভিযোগ করেন, তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টের আদেশ ভঙ্গ করে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বাইরে গিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি তদন্ত কক্ষে হাইকোর্টের নিদেশর্না না মেনে অতিরিক্ত লোক প্রবেশ করিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুক এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম বলেন, তিনি হাইকোর্টের নিদের্শনা পালন করেছেন। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও প্রয়াত মাহমুদা আক্তার মিতু দম্পতির দুই শিশু সন্তানকে কোর্টের আদেশে তদন্ত কর্মকর্তাসহ সবার সামনে হাজির করে সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
আরএ
