ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষকদের হত্যা-নির্যাতন: শিক্ষক সমিতির ১১ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
শিক্ষকদের হত্যা-নির্যাতন: শিক্ষক সমিতির ১১ দাবি ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শিক্ষকদের হত্যা ও নির্যাতন রোধ করতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (BTA)।  

শনিবার (২ জুলাই, ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির(BTA) উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি'র (BTA) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় এবং অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা জেলার সাভারে শিক্ষক হত্যা, নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানো বগুড়া, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মেরুদণ্ড ও জাতি গঠনের স্থপতি শিক্ষকরা আহত, নিহত ও নির্যাতিত।  
এসব ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাসহ শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জনান।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের মহড়া চলছে। শিক্ষক হত্যা ও শিক্ষক নির্যাতন এখন একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা না গেলে জাতিকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তাই শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাসহ শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান পুনরুদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শতভাগ উৎসব ভাতাসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য জোর দাবি জানান।  
অন্যথায় সারাদেশের বিক্ষুব্ধ বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারীরা ঢাকায় মহাসমাবেশসহ কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবেন।

এ সময় তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ- মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা, ঈদ -উল- আজহার পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, পশন প্রথা চালু করণ এবং পেনশন প্রথা চালু হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত 8 শতাংশ কর্তন বন্ধ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে প্রদান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা, চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ।

এছাড়াও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনার ক্ষতি নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান, ম্যানেজিং কমিটিগভর্নিং বড়ির সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মণ্ডলির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহসভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ-সম্পাদক মোস্তফা জামান খান ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।  


বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২ 
এনবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।