ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিপৎসীমার ওপরে আত্রাইয়ের পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
বিপৎসীমার ওপরে আত্রাইয়ের পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে ক্রমেই বাড়ছে নদ-নদীর পানি। উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে ইতোমধ্যে জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে একটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  

এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড় জেলায় আরও বৃষ্টিপাত হলে দিনাজপুর জেলার প্রধান আরও দু’টি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

তবে আশার কথা হলো দিনাজপুর জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  

জানা গেছে, বুধবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে জেলার প্রধান তিনটি নদী পুনর্ভবা, আত্রাই ও ছোট যমুনার পানি উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এদিন সন্ধ্যায় আত্রাই নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে আত্রাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর দুই তীরে ভাঙন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে অসংখ্য গাছপালা। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে বহু বসতবাড়ি।  

জেলার নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আত্রাই নদী বিপৎসীমা অতিক্রমের ফলে চিরিরবন্দর উপজেলার তালপুকুর বানিয়াপাড়া নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০টিরও বেশি পরিবার।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহমান পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে শহরের পূর্ব দপ্তরীপাড়ার কয়েকটি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রস্থলে ছুটছেন এই এলাকার পানিবন্দীরা।

দিনাজপুর পাউবোর পানি সার্ভেয়ার মাহাবুব আলম বাংলানিউজকে জানান, পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমা ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৩২ দশমিক ০৬০ মিটার। বুধবার যার পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৫১০ মিটার। আত্রাই নদীর বিপৎসীমা ৩৯ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৪০ দশমিক ১৯০ মিটার। যা ২৯ জুন ছিল ৩৯ দশমিক ০৫০ মিটার। এছাড়া আরেক প্রধান নদী ছোট যমুনার বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৬৫০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩৬০ মিটার। যা ২৯ জুন ছিল ২৬ দশমিক ২৪০ মিটার।  

তিনি আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টিপাত বেশি হলেও দিনাজপুর জেলার নদ-নদীগুলোর পানি আরও বাড়বে। তবে বৃষ্টিপাত কম হলে দিনাজপুরের নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করবে।  

এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।