ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষক হত্যা: বৃহৎ আন্দোলনের ডাক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
শিক্ষক হত্যা: বৃহৎ আন্দোলনের ডাক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে চতুর্থ দিনের মত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া তারা আরও বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেন।

বুধবার (২৯) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল হাজী ইউনুছ আলী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এবং সেখানে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল সাভার উপজেলার সমস্ত স্কুল কলেজ আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে সাভার উপজেলা চত্বরে উপজেলার সব স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করা হবে। আজ কর্মসূচি চলবে দুপুর পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বলেন, ঘটনার দিন বিকেলেও জিতু এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছে। স্যারের অবস্থার অবনতি হলে পর দিন জিতু পরিবারসহ পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রমিলা ক্রিকেট ম্যাচের ৪ ওভারের মাথায় শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জিতু। আমরা জিতুর ফাঁসি চাই। এ ঘটনায় মামলা হলেও জিতুর বয়স দেখানো হয়েছে ১৬ বছর। কিন্তু জিতুর প্রকৃত বয়স মূলত ১৯ বছর। সে কয়েক বছর শিক্ষা বিরতি দিয়ে এই স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। এর আগে সে সাভারের একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। আমাদের দাবি জিতুর জন্ম সনদ খুঁজে তার বয়স তদন্ত করার জন্য।

প্রসঙ্গ, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু দাদা নামের এক ছাত্র। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক দিন পর রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রোববারই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার চারদিন পর প্রধান আসামিকে ধরতে না পারলেও জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
এসএফ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।