বেনাপোল( যশোর): ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ২৫ নারী-পুরুষকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। এদের মধ্যে নয়জন কিশোর ও ১৪ জন কিশোরী।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশে কাছে সোপর্দ করে।
ফেরত আসারা হলেন- নড়াইলের আজিজুর রহমান শেখের ছেলে জুনায়েদ শেখ, পিরোজপুরের রহমত ফকিরের ছেলে আরিফুল ইসলাম, জাকির ফরাজীর ছেলে শুভ ফরাজী, সাতক্ষীরার মফিজুর শেখের ছেলে খলিল শেখ, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাকির হোসেন, সুলায়মান ঢালির মেয়ে আয়েশা খাতুন, বিধান চন্দ্র নাথের মেয়ে রানি নাথ, বাগেরহাটের কবির হোসেনের মেয়ে জান্নাতি, কবির শেখের ছেলে রবিউল শেখ ও হাসিব শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কওছারের ছেলে ফাইজুল হোসেন, ঢাকার বাবুর মেয়ে আমেনা আক্তার, জামাল সরকারের মেয়ে জুবায়দা বেগম, খুলনার ছালাম হাওলাদারের মেয়ে লিপি আক্তার, রবিউল শেখের মেয়ে রুখসানা শেখ, জামাল সরকারের মেয়ে বিলকিস খাতুন, কক্সবাজারের ফজর করিমের মেয়ে রজিনা আক্তার ও ফরিদপুরের হালিম শেখের মেয়ে হুসনেআরা আক্তার।
ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীদের আইনি সহায়তা দিতে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর নামের তিনটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার রোকেয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাদের ভারতে পাচার করা হয়েছিল।
পাচারকারীরা তাদের ভারতে নিয়ে গিয়ে ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জোর করে ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় তারা ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি, রাইট যশোর নামে এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
এসআরএস