ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

যশোরে স্বামী-শাশুড়ি ও দেবরের নামে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
যশোরে স্বামী-শাশুড়ি ও দেবরের নামে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা

যশোর: যশোরে সুমাইয়া খাতুন নামের এক গৃহবধূকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে তার স্বামী-শাশুড়ি ও দেবরের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (২৬ জুন) সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী খানের স্ত্রী নিহতের মা আরজিনা খাতুন ওই মামলা করেছেন।



সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।  

আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী কোহিনুর বেগম এবং দুই ছেলে নুরুজ্জামান ও তুহিন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে ২০১৩ সালের ৮ মার্চ আসামি নুরুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। আসামি নুরুজ্জামান বিশেষ একটি বাহিনীকে চাকরি করেন। সেই কারণে বাদীর মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের ওয়াহেদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের রোহান (৩) নামের একটি ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামি নুরুজ্জামান যৌতুকের দাবিতে সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে সুমাইয়া বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এনে ৩ দশমিক ৯০ শতক জমি কিনে স্বামীর নামে দলিল করে দেন। কিছুদিন সুমাইয়ার সংসার সুখের হলেও তার স্বামী তাসমিন জাহান নামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আবারও অশান্তি সৃষ্টি হয়। নানা অজুহাতে নুরুজ্জামান সুমাইয়াকে মারধর করে ও আত্মহত্যা করতে বলতেন।

গত ১২ মে রাতে আসামিরা সুমাইয়াকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে সুমাইয়ার মা আরজিনা খাতুন ও তার বোন জিনিয়া খাতুন তার ভাড়া বাসায় যান।

সুমাইয়ার মা আরজিনা খাতুন আসামিদের উপস্থিতিতে কথাবার্তা বলে তার বোন জিনিয়াকে তার বাসায় রেখে আসে। ১৭ মে আসামিরা সুমাইয়াকে তার বোনের সামনেই প্রচণ্ড মারধর করে আত্মহত্যা করতে বলেন। গভীর রাতে সুমাইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরদিন পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।