ঢাকা: আয় করের আওতা বাড়াতে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) উপস্থিতি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিলেন। সেখানে তৃতীয় কোনো পক্ষ ছিল না। এ পার্বত্য শান্তি চুক্তি ছিল বিশাল অর্জন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। আজ সারা দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রূপপুর পরামাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা পরমাণু শক্তি ব্যবহারের বিশ্বে প্রবেশ করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এক সময় এ যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে বিএনপি জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের রেভিনিউ কাঠামো আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। এক কোটির বেশি ব্যক্তিগত আয় কর দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের গবেষণায় সেটা আরও কম। প্রয়োজনে এনবিআরের উপস্থিতি উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেটা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর ২১টি জেলায় শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এসব জেলায় শিল্পায়নের অনেক প্রস্তাব আছে। বিনিয়োগের জন্য অনেকেই এসেছিল। পদ্মা সেতু তৈরির পর এখন বিনিয়োগ হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের বক্তব্য প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য বলেছেন এসএসসি পরীক্ষা থেকে দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে। আসলে প্রতিবছরই দুই থেকে আড়াই লাখ অনিয়মিত পরীক্ষার্থী থাকে। আগের বছর যারা পাস করতে পারে তারা পরের বার আবার অংশ নেয়। গত দুই বছর করোনার কারণে আমরা পরীক্ষা নেইনি। এবার ও গত বছর আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজেই অনিয়মিত পরীক্ষার্থী নেই। তাই পরীক্ষার্থী দুই লাখের কম। এখন শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়। আইসিটি শিক্ষকের ঘাটতি আছে, এ খাতে নতুন নিয়োগের ব্যবন্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
এসকে/আরবি