ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জিকে শামীমের মামলা: তিন পুলিশসহ সাক্ষ্য দিলেন আরও ৪ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
জিকে শামীমের মামলা: তিন পুলিশসহ সাক্ষ্য দিলেন আরও ৪ জন ফাইল ছবি

ঢাকা: বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম) ও তার ৭ দেহরক্ষীর নামে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রোববার (২৬ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষ্য দেওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন- অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম, সহকারি উপ-পরিদর্শক আব্দুল মমিন ওকনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। সাক্ষ্য দেওয়া অপরজনের নাম দিদারুল আলম।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অপর ৭ আসামি হলেন- জিকে শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে আদালতে জিকে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে বদলির আদেশ দেন। একই বছর ১০ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।

একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।