ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পূর্বাচলে নতুন ডিপ্লোমেটিক জোন গঠনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
পূর্বাচলে নতুন ডিপ্লোমেটিক জোন গঠনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: সরকার রাজউকের মাধ্যমে পূর্বাচলে নতুন ডিপ্লোমেটিক জোন গঠনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অদূর ভবিষ্যতে অনেক দেশেরই বাংলাদেশে মিশন খোলার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে ৷ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে যেসব দেশ ভাড়াবাড়িতে তাদের অফিস পরিচালনা করছে একময় তাদেরকেও অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নতুন জমির দাবি উঠতে পারে। এ কারণেই সরকার রাজউকের মাধ্যমে পূর্বাচলে নতুন ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান গুলশান ও বারিধারা এলাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার মতো জায়গা খালি নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তার শহর সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্বাচল ডিপ্লোমেটিক জোন গঠনের ব্যবস্থা নিয়েছে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় মিশনসমূহকে বরাদ্দ দেওয়ার মতো জমির সংকট থাকায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূর্বাচলের ২৭ নং সেক্টরে ডিপ্লোমেটিক জোন করার জন্য প্লট নির্ধারিত রয়েছে। বিদেশি মিশনগুলো সম্মত হলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে শুরু করা যাবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে নতুন নতুন কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহও বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিশনগুলোকে প্রদেয় নিজস্ব অফিসভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারমূলক যৌক্তিক নির্দেশ রয়েছে। কারণ সমগ্র বিশ্বেই জমির দাম ও ভাড়া করা অফিসের মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার মিশনসমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে কাজ করা যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দূতাবাস ভবনের জন্য ভূমি বিনিময় এখন একটি যৌক্তিক রাষ্ট্রাচারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। এই মুহুর্তেও কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাসের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব দেশ জমি বরাদ্দ দিয়েছে অথবা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, ভূটান, থাইল্যান্ড, ইরাক, মিশর, জাপান ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১ অনুযায়ী বিদেশি মিশনগুলোকে তাদের নিজস্ব ভবন তৈরির ক্ষেত্রে নতুন করে জমি বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এসকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।