ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আর্থিক খাতে লুটপাট থামানো যাচ্ছে না: ফিরোজ রশীদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
আর্থিক খাতে লুটপাট থামানো যাচ্ছে না: ফিরোজ রশীদ

ঢাকা: আর্থিক খাতে লুটপাট কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। আর্থিক খাত দেখলে মনে হয় টাকা চুরি দেখার কেউ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুখে থাকা মানুষগুলো বোঝে না গরিবের দুঃখ-কষ্ট কী? আর স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো বোঝে না বাস্তবতা কত নির্মম, কত কঠিন। অর্থমন্ত্রী যথেষ্ট মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, মনে হয় ধনীদের চেহারা সামনে রেখে তিনি বাজেট প্রণয়ন করেছেন। আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটেরাদের দখলে চলে গেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি যদি লাগামহীন বাড়তে থাকে তাহলে ধনী এবং দরিদ্রের মাঝে ব্যবধান আরও বেড়ে যাবে। যেটা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

ফিরোজ রশীদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। আর্থিক খাত দেখলে মনে হয় কেউ দেখার নেই। এখানে যে দেখার প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশ ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকের ডিভিশন, অন্যান্য সংস্থা তারা কিন্তু একদম নীরব-নিশ্চুপ, লুটপাট কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। কীভাবে পিকে হালদার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেল। বছরের পর বছর ব্যাংকিং সেক্টর থেকে এই টাকা চুরি করেছে, এটা কি দেখার কেউ নাই? এটা তো একদিনে হয়নি। অভ্যন্তরীণ অডিট তো প্রতি মুহূর্তে হয়, প্রত্যেকটা সংগঠনে ব্যাংকে অডিট হচ্ছে প্রতিদিন, তাহলে কীভাবে হলো?

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব সমর্থন করে ফিরোজ রশীদ বলেন, আমাদের দেশের টাকা যা পাচার হওয়ার হয়ে গেছে। অনৈতিক হলেও সমর্থন করি। যদি আনে ৭ শতাংশ না ১২ শতাংশ দিয়ে আনুক। টাকা যেটা যায় সেটা বাইরে থেকে আনা কঠিন।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু কোনো রাজনৈতিক আইটেম না। রাজনীতির বিষয় না। এই সেতু গোটা বাঙালি জাতির গর্ব এবং অহংকারের বিষয়। এই সেতু করার মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে আমাদের আর্থিক শক্তি ও সক্ষমতার বার্তা ইতোমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা সব থেকে বড় গৌরবের বিষয়। এই সেতুকে কেউ কেউ উপহাস করে গোল্ডেন সেতু বলেছেন। পদ্মার ওপাড়ের তিন কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চাবিকাঠি হচ্ছে এই পদ্মা সেতু। এই সেতুর সঙ্গে গোল্ডেন সেতুর তুলনা করা যায় না। এটা আমাদের কাছে হিরকের চেয়ে বেশি মূল্যবান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad