পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা থেকে : আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরুর প্রথম প্রহরে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার মোটরসাইকেলের জট ছিল পদ্মা সেতুতে। তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে সে চাপ।
রোববার (২৬ জুন) স্বপ্নের সেতুতে এ দৃশ্য দেখা যায়। এখনও মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা এলাকায় কোনো জট নেই।
এর আগে ভোর থেকেই রাজধানীর ঢাকা থেকে হাজার হাজার মোটরসাইকেল আরোহী পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু করেন। অগণিত মোটরসাইকেল আরোহী এ সময় ভিড় করেন মাওয়া টোল প্লাজায়। দুপুর হতেই ওই এলাকা কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়।
দুপুরে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা আরিফ হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, সকালে পত্র-পত্রিকা এবং ফেসবুকে যা দেখেছিলাম তাতে বেশ ভয়ে ছিলাম যে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় অনেক ভিড় এবং যানজট হবে। কিন্তু এসে দেখছি অবস্থা ঠিক তার বিপরীত। টোল প্লাজা এখন ফাঁকা।
মারুফ বিল্লা নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ফাঁকা টোলপ্লাজা দেখে বেশ ভালো লাগছে। স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। সত্যিই যানজট আর ফেরির অপেক্ষা বাদ দিয়ে খুব দ্রুত সময়ে আমরা পদ্মার ওপাড়ে যেতে পারবো।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে অঞ্চলের প্রথম বাস। সেতুর জাজিরা প্রান্তে বাসটি পৌঁছায় সাড়ে নয়টায়। এরপর মাত্র ২ মিনিটে টোল দিয়ে ৬ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে সেতু পার হয় বাসটি। শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস নামে বাসটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সায়দাবাদের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে মিনিটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মাওয়া প্রান্ত থেকে শরীয়তপুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত আসেন। উদ্বোধনের পর গ্রিন লাইনের একটি বাস সেতু পার হয়। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যান-চলাচল শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ২৬ জুন, ২০২২
এইচএমএস/এমজে