ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ বছরের ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত পশু আমাদের কাছে প্রস্তুত আছে। তাই কোরবানির জন্য সংশয়, সংকট বা আশংকার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর খামার বাড়ি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল/পরিবহণ নিশ্চিতে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতিশীল অবস্থায় আছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় যারা থাকবেন তাদের কাছে অনুরোধ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবেন। আবার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে, আমাদের সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে। একজন মানুষ আক্রান্ত হওয়া মানে তার পরিবারের সবাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরুর হাট গুলোতে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি গরু-মহিষ, ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫১৭টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৪০৯টি অন্যান্য প্রজাতিসহ (উট, দুম্বা, গাড়ল ইত্যাদি) সর্বমোট প্রায় এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা থাকবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নয় হাজার ৪০২ জন পেশাদার কসাই এবং আট হাজার ৯৫৬ জন মৌসুমি কসাইসহ সর্বমোট ১৮ হাজার ৩৫৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পশুখাদ্যে ভেজাল বা নিষিদ্ধ এন্টিবায়োটিক ও হরমোন ইত্যাদির ব্যবহার রোধকল্পে নিয়মিত ভেটেরিনারি ডাক্তারের সার্ভিল্যান্স ও প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার জন্য মহাসড়কে হাট স্থাপন না করার কথা উল্লেখ করা হয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে। খামারিদের পক্ষ থেকে পশু আনা নেওয়া করার সময় চাঁদাবাজিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হটলাইন গঠন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বেচা কেনার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি ও বাইরের কিছু স্থানে পরিক্ষামূলকভাবে নন ক্যাশ ট্রানজেকশন সার্ভিস চালু করার কথা উল্লেখ করেন আলোচকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এমএমআই/কেএআর