ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিলাইছড়িতে জুম্মল্যান্ড আর্মির ৩ সন্ত্রাসীকে ‍গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার কেএনএফের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
বিলাইছড়িতে জুম্মল্যান্ড আর্মির ৩ সন্ত্রাসীকে ‍গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার কেএনএফের

রাঙামাটি: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় কেএনএফের হামলায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র (পিসিজেএসএস) জুম্মল্যান্ড আর্মির (জেএলএ) তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেএনএফ’র হেডকোয়াটার্স’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সলোমন।

নিহত তিনজনের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন- চিতারাম ত্রিপুরা (৬৫)এবং বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা (৪৯)।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)  তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে উল্লেখ করে-মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় বিলাইছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম বড়তলী ইউনিয়নের জাইজাম পাড়ায় সদ্য গঠিত জেএলএর স্বশস্ত্র বেসমেন্ট ক্যাম্পে কেএনএফের স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম সফলভাবে হামলা চালায়। এতে জেএলএর তিনজন সশস্ত্র সদস্য ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আর আহত অবস্থায় জেএলএর বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে পালিতে যেতে সক্ষম হন।

কেএনএফ আরও দাবি করছে, দীর্ঘদিন ধরে জাইজাম এলাকায় স্থানীয় নিরীহ বম, খিয়াং, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। কিন্তু জেএলএ ওই গ্রামবাসীকে সেখান থেকে চলে যেতে হুমকি দেয় এবং নির্যাতন করে। যে কারণে ভয়ে স্থানীয়রা তাদের সহায়-সম্পদ ফেলে পালিয়ে যান। জেএলএর এসব অপকর্ম বেশ কয়েকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করেছে কেএনফ বাহিনী।

সংগঠনটি বলছে, জেএলএ ওই এলাকায় তাদের সশস্ত্র ক্যাম্প তৈরি করেছে মূলত টহলরত সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাবে এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

তবে জেএসএসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা দাবি করছেন, কেএনএফ যাদের হত্যা করেছে, তারা সবাই নিরীহ জনগণ। তাদের কোনো সদস্য এ ঘটনায় নিহত হননি।

বড়তলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য শৈহ্লামং মারমা বলেন, আমিও গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনেক দুর্গম এলাকা। সেখানে যেতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগে।

বড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতমং মারমা  বলেন, আমি পুরো ঘটনাটি জানি না। স্থানীয়রা আমাকে বলেছেন। ঘটনাস্থল তো অনেক দুর্গম। আমি খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীরের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।