ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাংনীতে পৃথক সংঘর্ষে আহত ১৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
গাংনীতে পৃথক সংঘর্ষে আহত ১৫

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জমি-জমা, বিয়ে ভাঙা ও হোটেলে খাবার দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দিনব্যাপী ঘটে এসব সংঘর্ষ।

এতে আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামুনর রশিদ (৪৫) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (৪০) লাঠি দিয়ে দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন মামুনরের আপন ভাই কাওছার আলী ও ওয়াজেদ আলী। আহত হয়ে তারা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামুনর বাদী হয়ে তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

একই দিন সকাল ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামে সনাতন ধর্মী পরিবারের মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন, রাইপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন (৫০), ছেলে লিখন হোসেন (২১)।

আহত লিখন বলেন, প্রতিবেশী হিন্দু ধর্মাবলম্বী আনন্দ দাশের মেয়ে বন্যা দাশের বিয়ে ভেঙে গেছে। তার মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে প্রথমে আমার মা এবং পরে আমার বাবা ও আমাকে মারধর করেন। আনন্দ দাশের বাবা সুশান্ত দাশ ও পরি দাশ সবাই মিলে করে আমাদের ওপর হামলা করেছেন।

এদিকে চাঁদপুর গ্রামের মাদরাসার বাউন্ডারির মধ্যে গরু প্রবেশকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই পরিবারের নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন গরুর মালিক মাজেদ আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইলিয়াছ হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী নাজেরা খাতুন (৫০) ও ছেলের বউ রুমি খাতুন (৩০)। এদের মধ্যে নাজেরা খাতুন কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ইলিয়াছ হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী হামিদা খাতুনকে (৪০) পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দুপুরের দিকে গাংনীর ঐতিহ্যবাহি সোবহান হোটেলে ভাত দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুপক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন চৌগাছা গ্রামের আমিরুল শাহ্র ছেলে আশিকুজ্জামান পিন্টু (৩০), ইন্টু রাজ (২), সোবহান হোটেলের কর্মচারী কাজিপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে সুজন (২৬) ও সুজন হোসেন (৩০)।

এদের মধ্যে পিন্টু ইন্টুরাজকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হোটেলের কর্মচারী সুজনকে ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।