ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নালিতাবাড়ী-ঝিনাইগাতীতে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
নালিতাবাড়ী-ঝিনাইগাতীতে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ত্রাণ বিতরণ

শেরপুর: টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।  

শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

একই সঙ্গে তিনি দুর্গত অসহায় লোকজনদের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিড়া, মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, ধনিয়ার গুড়া ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন।  

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়াসহ স্ব-স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসক নালিতাবাড়ী উপজেলার প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানেও দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।  

এ সময় নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃষ্টি ও উজানের পানির কারণে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ইতোমধ্যে ৬০ মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলোর বিতরণ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার জানান, জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিশেষ সভা করে সবাইকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর থেকে দ্বিতীয় দফায় অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝিনাইগাতীর ৫টি, নালিতাবাড়ীর ৫টি, শ্রীবরদীর ২টি ও সদর উপজেলার ১টিসহ জেলার ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে ওই সব ইউনিয়নের অন্তত ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। পানির তোড়ে শুক্রবার রামেরকূড়া গ্রামের বাঁধের সঙ্গে একটি বাড়ি ও মুরগির খামার ভেসে গেছে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মহারশি বাধেঁর বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। ঝিনাইগাতী-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে ঢলের পানি। নালিতাবাড়ী ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁচা-পাকা বহু সড়ক, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিজ-কালভার্ট। ভেসে গেছে শতশত পুকুরের মাছ। সেই সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছে শতশত দরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।