সিলেট: আবারও তলিয়ে যাচ্ছে সিলেটের বরইকান্দি ৩৩ কেভি সাবস্টেশন ও কন্ট্রোল রুম। এ জন্য গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
মাস খানেক আগের বন্যায়ও বিদ্যুতের এই সাবস্টেশনটি পানিতে তলিয়ে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে সপ্তাহ দু’য়েক। এছাড়া নগরের উপশহরেও বিদ্যুতের সাব স্টেশন পানিতে তলিতে যাওয়ায় বন্ধ করা হয়েছিল ডিভিশন-২ এর বিদ্যুৎ সরবরাহ।
দ্বিতীয় ধাপে এবার বন্যার শুরুতেই সাবস্টেশন ও সরবরাহ কেন্দ্রটিতে বন্যার পানি উঠেছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এ কারণে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও আশপাশের এলাকার গ্রাহকেরা বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সময়ে সময়ে অবনতি হচ্ছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে আরও অনেক এলাকা। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো এবারের বন্যায় সারা সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে!
সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র এরইমধ্যে বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র সূত্রে জানায়, কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে সারা সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (কন্ট্রোল রুম) বাইরের অংশে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। যদি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (কন্ট্রোল রুমে) ভিতরে পানি প্রবেশ করে তাহলে এই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে।
সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সুরঞ্জিত সিং বলেন, এরইমধ্যে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। যে হারে বন্যার পানি বাড়ছে, তাতে কন্ট্রোল রুমে পানি প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগবে না। যদি কন্ট্রোল রুমে পানি প্রবেশ করে, তাহলে গ্রিড উপকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। এতে করে সারা সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
এনইউ/এনএইচআর