ঢাকা: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে বাবাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (১৩ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হাসনা বেগম।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মেয়ের নামে বাবা ইন্স্যুরেন্স করেছিলেন। একটা কিস্তি দিয়ে মেয়েকে মেরে একসঙ্গে সব টাকা তুলে নেওয়ার ফন্দি করেন বাবা। সেই চিন্তা থেকে আট বছরের মেয়েকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার ভেচকী গ্রামের মহারাজ তার আট বছরের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে দেন। পরে মহারাজ প্রচার করেন জেসমিন পানিতে ডুবে মারা গেছে। খবর পেয়ে জেসমিনের মামা আব্দুস সালাম স্থানীয় থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা করেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিল্লুর রহমান।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
ইএস/এসএ